Header Ads

ওজন কমানোর সহজ উপায় জেনে নিন | How to Best Weight Loss Drink






ওজন কমানোর সহজ উপায়।


আমরা অনেকেই ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকি। কিন্তু ওজন কমানো অনেক কষ্টকর হয়ে ওঠে। আজকে আমরা ওজন কমানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জানব। আমরা প্রত্যেকেই লেবু পানি তৈরি করতে জানি কিন্তু আজ আমরা লেবু পানি বানানোর এমন একটা পদ্ধতি সম্পর্কে জানব যার দ্বারা মাত্র দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে কমপক্ষে ৫ কেজি ওজন কমাতে পারবেন। ওজন কমানোর পাশাপাশি এটি বডি থেকে টক্সিনকে বাইরে বাড় করে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, ত্বক গ্লোইং করে এবং আরও অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেবে।

বানানোর উপায় :

প্রথমে চারটি  লেবু নিতে হবে। তারপর লেবুগুলোকে ধুয়ে নিতে হবে। কারন আজকাল সবজিতে বিভিন্ন ধরনের জীবানু থাকে। একারনে লেবুগুলোকে ধুয়ে নেয়া জরুরি। প্রথমে একটি বাটিতে তিন কৌটা জল নিয়ে তারসাথে এক কৌটা ভিনেগার মিশিয়ে নিন। তারপর লেবুগুলোকে ভিনেগার মিশ্রিত জলে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। সাধারণ জল দিয়ে ধুলেও চলবে তবে ভিনিগার দিয়ে ধুলে ৯৮% জীবানু ধ্বংস হয়। তারপর লেবুগুলোকে সাধারণ জল দিয়ে ধুতে হবে। লেবুগুলো জীবনু মুক্ত হওয়ার পর কেটে নিতে হবে। তারপর সেগুলো থেকে একটি গ্লাসে রস বের করে নিতে হবে। আমাদের আজকে লেবুর রসের প্রয়োজন  নেই লেবুর খোসার প্রয়োজন। লেবুর খোসা ব্যবহার করে তৈরি করা হবে। একটি প্যানে এক লিটার পানিতে লেবুর খোসাগুলো দিয়ে ফোটাতে হবে। লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে সবাই জানেন কিন্তু রেবুর খোসার উপকারিতা সম্পর্কে কেউ বলেন না। তাই আমরা লেবুর খোসা ফেলে দিই। লেবুর খোসার মধ্যে এমন ২০ ধরনের পদার্থ রয়েছে যা ক্যান্সারের রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। লেবুর খোসাতে ভিটামিন সি‌‌ এর পাশাপাশি অনেক বেশি পরিমাণ ফাইবার ও পটাশিয়াম থাকে যা আমাদের প্রতিদিন ডায়েটে খুবই প্রয়োজন। তাছাড়া লেবুর খোসা দ্বারা ব্রণ, ক্লোস্টেরল ও হৃদপিন্ডের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। লেবুর রসের থেকে লেবুর খোসাতে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন থাকে। তাই কখোনো লেবুর খোসাকে ফেলে দেবেন  না। পানি ৮ থেকে ১০ মিনিট বেশি তাপমাত্রায় ফুটাতে হবে যাতে করে লেবুর খোসার রস ভালোভাবে ফুটে যায়। এই পানিটি যখন হালকা গরম হয়ে যাবে তখন এতে অর্ধেক চামচ বিট নুন দিয়ে দিতে হবে ( খাবার নুন দেওয়া যাবে না )। তারপর নুনটিকে পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর লেবুরখোসাগুলোকে বাদ দিয়ে পানিগুলোকে একটি জগে রাখতে হবে।

খাওয়ার নিয়ম:

প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও রাতে খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে এক গ্লাস করে পান করতে হবে। এটি হালকা গরম করে খেলে বেশি উপকারী অথবা স্বাভাবিকভাবে পান করতে পারেন। এটিকে কখনো ফ্রিজে রাখবেন না। প্রথম প্রথম এটি পান করতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে কিন্তু দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে এটা পান করার অভ্যাস হয়ে যাবে। আপনি কিছুদিন এটা পান করার পর যখন দেখবেন আপনার ওজন কিছুটা কম হয়েছে তখন আপনি নিজে থেকে মোটিভেশন হবেন। অনেক লোক আছেন যারা এটা মাঝপথে পান করা ছেড়ে দেয় এবং পরে চিন্তা করে ভালো ফলাফল না পাওয়ার জন্য। আপনি যদি প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ দিন এই লেবুপানি পান করেন তাহলে খুব সহজে ওজন কম হয়ে যাবে। তাই এটা কখনো মাঝপথে পান করা ছেড়ে দেবেন না। লেবুপানি পান করার পাশাপাশি আপনি ডায়েটের উপর ও লক্ষ্য রাখবেন। হেলথি খাবেন, প্রতিদিন ব্যায়াম করবেন, সঠিক সময় খাবার খাবেন, মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দুড়ে থাকবেন। এই লেবুপানিটি পান করলে শুধুই উপকার। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটা পান করা থেকে বিরত থাকবেন। আপনার যদি কনক্লিউসের সমস্যা থাকে বা ব্লাড প্রেসার লো থাকে তাহলে এটি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

ধন্যবাদ

No comments

Powered by Blogger.