Header Ads

অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোনের পার্থক্য | Official Vs Unofficial Phone





আমাদের দেশে অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল দুই ধরনের ফোন পাওয়া যায়। অনেকেই রয়েছেন যারা কিনা এটাই চিন্তা করেন অফিসিয়াল টা নিব না আনঅফিসিয়াল টা । অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য কি এবং আপনাদের কোনটি নেওয়া উচিত। সেটা নিয়ে আলোচনা করব।

অফিসিয়াল ফোন : বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি যেমন সামস্যাং , ওয়ালটন , ওপ্পো , রিয়েলমি এবং সাওমি তারা বাইরের দেশ থেকে আমাদের দেশে ফোনগুলোকে আমদানি করে এবং এর জন্য বাংলাদেশ সরকারকে একটা নির্দষ্ট পরিমান ট্যাক্স দিতে হয়। ট্যাক্স দেওয়ার পরে এই ফোনগুলোর আইএমইআই নম্বর গুলো বাংলাদেশ সরকারের ডাটাবেজে রাখা হয় অর্থাৎ সংরক্ষণ করা হয়।

সুবিধা : আপনি যদি অফিসিয়াল ফোন কিনে থাকেন তাহলে সরকারের ডাটাবেজে আইএমইআই নম্বরটি সংরক্ষিত থাকবে। ভবিষ্যতে সরকার যদি আনঅফিসিয়াল ফোনকে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় তাহলে আপনি শুধুমাত্র অফিসিসিয়াল ফোনে সিম ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া কোম্পানির  পক্ষ থেকে অফিসিয়াল ফোনে ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের এক্সচেঞ্জ অফার পাওয়া যায়। অফিসিয়াল ফোনের ভিতর যদি কোন ত্র্রুটি পাওয়া যায় তাহলে উক্ত কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে ফ্রিতে সর্ভিস করে পাওয়া যায় যদি ওয়ারেন্টির আওতায় থাকে। ফোন চুরি হয়ে গেলে আপনি থানায় জিডি করতে পারবেন যা আনঅফিসিয়াল ফোনের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।

অসুবিধা : অফিসিয়াল ফোন আনঅফিসিয়াল ফোনের চেয়ে দাম বেশি হয়ে থাকে।

আনঅফিসিয়াল ফোন : বিভিন্নভাবে দেশের বাইরে থেকে ফোনগুলোকে সরকারের কর বা ট্যাক্স ফাকি দিয়ে দেশের বাজারে আনা হয় এবং সে ফোনগুলোর আইএমইআই  নম্বর সরকারের ডাটাবেজে থাকে না বা সংরক্ষণ করা হয় না। এই ফোনগুলোর দাম অফিসিয়াল ফোনগুলোর চেয়ে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা কম হয়ে থাকে। আবার বেশি দামি ফোনগুলোর দাম ১০ হাজার টাকার মত কম হয়ে থাকে। কারন আনঅফিসিয়াল ফোনে সরকারকে ট্যাক্স দেওয়া লাগেনা। বাইরে থেকে যে দামে কিনে আনা হয় সেখান থেকে কিছু লাভ রেখে বিক্রি করা হয়।

সুবিধা : আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল ফোনের চেয়ে দাম কম হয়।

অসুবিধা : কোম্পানির কাছ থেকে ফ্রি সার্ভিসিং ওয়ারেন্টি পাওয়া যায় না তবে টাকা দিয়ে সার্ভিসিং পাওয়া যায়। যে দোকান থেকে আপনি ফোনটি কিনবেন সে দোকান থেকে ওয়ারেন্টি সার্ভিসিং দেওয়া হয়। আপনার ফোনে যদি কোন ত্র্রুটি দেখা যায় তাহলে সে দোকন থেকেই ফোনটি সার্ভিসিং করতে হবে। তারা আপনাকে যে ভাবে বলবে ঠিক সেভাবে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা পার্সের দামের সাথে সার্ভিস চার্জও নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অনেককেই সমস্যায় পড়তে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে যারা অনঅফিসিয়াল ফোন বিক্রি করে তারা ২ বছরের মত সার্ভিসং ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে।

কোনটি নেওয়া উচিত?

উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে আনঅফিসিয়াল ফোনের সুবিধা থেকে অসুবিধা বেশি। আনঅফিসিয়াল ফোনে নিরাপত্তা কম থাকে। অফিসিয়াল ফোন হারিয়ে গেলে থানায় জিডি করে ফোন ফেরত পাওয়া যায়। ফ্রি সার্ভিসিং ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়। কিছু দাম বেশি লাগলেও আমার মতামত অফিসিয়াল ফোন কেনাই ভালো হবে। আর আনঅফিসিয়াল ফোন কিনলে আপনি পুরাতন ফোন যেভাবে চেক করে কিনেন ঠিক সেভাবে র‌্যাম,রোম,ডিসপ্লে,বিল্ট কোয়ালিটি ইত্যাদি ফোন টিকে আনবক্সিং করে চেক করে  হবে।

ধন্যবাদ

2 comments:

Powered by Blogger.