মোবাইলে ৪/৫ টি ক্যামেরার আসল কাজ কি ?? জানলে অবাক হবেন !! Why are there 4/5 cameras on mobile?
মোবাইলে ৪/৫ টি ক্যামেরার আসল কারন জানুন ??
বর্তমান সময়ের স্মার্ট ফোনগুলোর
পিছনে একাধিক ক্যামেরা থাকে। পিছনে একাধিক ক্যামেরা দেখে আমরা কনফিউসজ হয়ে যায় এবং
অনেকেই জানিনা একটার অধিক যে ক্যামেরা গুলো রয়েছে সে ক্যামেরাগুলোর আসল কাজ কি ?
তাহলে জেনে নেওয়া যাক মােবাইলফোনের একাধিক ক্যামেরার আসল কাজ।
দুটি কামেরার ফোন :
যে স্মার্টফোনটির পিছনে ২টি
ক্যামেরা থাকে সে স্মার্টফোনটির ২য় ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে Depth Sensor এর
জন্য। Depth Sensor হচ্ছে পোর্টেট মোডে ছবি তোলার জন্য একটি প্রযুক্তি। Depth
Sensor এর মাধ্যমে আপনি কোন ফটো পোর্টেট মোডে তুলতে পারবেন। এর মানে হচ্ছে স্মার্টফোন
দিয়ে DSLR এর মতো পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড টাকে ব্লার (আবছা) করে ছবি তুলতে পারবেন। যদি মূল বিষয়ের
উপর ফোকাস রেখে বাকি ব্যাকগ্রাউন্ড টাকে ব্লার (আবছা) করে দেয় সেটা হচ্ছে Depth Sensor এর
কাজ মানে ২টি ক্যামেরা থাকলে সেটা ব্যবহার করা হয়।
তিনটি ক্যামেরার ফোন :
৩টি ক্যামেরা থাকলে ৩য় ক্যামেরাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে Ultra Wide Angel Lens এর জন্য। Ultra Wide Angel Lens ব্যবহার করা হয়ে থাকে একসাথে বেশি জায়গা জুড়ে ছবি তোলার জন্য। প্রধান ক্যামেরা দিয়ে আপনি একটি ছবি তুললে যতটা Wide পাবেন Ultra Wide Angel Lens দিয়ে ছবি তুললে তার থেকে বেশি Wide পাবেন এর মানে হচ্ছে Ultra Wide Angel Lens দিয়ে আপনি যে কোন ছবি তুললে তার আশেপাশে যে কোন দৃশ্য বেশি ধারন করতে পারে। কারন সেটির Wide Angel টা বেশি থাকে এবং Ultra Wide Angel Lens টির কাঁচটিও থাকে বেশি Wide নিয়ে। যে কারনে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে বেশি wide জুড়ে যে কোন ছবি তোলার জন্য।
চারটি ক্যামেরার ফোন :
চার ক্যামেরা যুক্ত ফোনে
৪র্থ ক্যামেরাটি Telephoto Lens এর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সম্পূর্ন জুম এর জন্য ব্যবহৃত
হয় অর্থাৎ আপনি প্রধান ক্যামেরা দিয়ে যতটা জুম করতে পারবেন
Telephoto Lens এর মাধ্যমে আরও বেশি জুম করতে পারবেন। কিছু কিছু স্মার্টফোনে 5x অপটিকাল Zoom ও 10x অপিটিকাল
Zoom থাকে । টেলিফটো লেন্সটা পুরোপুরি জুম এর জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেটি আপনার সাধারন
ক্যামেরা থেকে Zoom করলেও অনেকটা পরিস্কার ছবি তুলতে পারবেন এবং ছবির রেগুলেশন ঠিক
থাকবে। ছবি জুম করার পরও ফেটে যাবে না বা নষ্ট হবে না। এটা টেলিফটো লেন্সের প্রধান
কাজ।
আবার কিছু স্মার্টফোনে ৪র্থ ক্যামেরাটি মাইক্রো লেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যদি মাইক্রো লেন্স হিসেবে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয় যে কোন ছোট বস্তুকে ক্যাপচার করার জন্য। বলা যায় এক ধরনের অনুবিক্ষণ যন্ত্রের মত যদিও অনুবিক্ষণ যন্ত্রের সাথে কখোনো তুলনা করা যায় না তবুও স্মার্টফোন দিয়ে যতটা ছোট বস্তু ক্যাপচার করা সম্ভব সেটা মাইক্রো লেন্সের ম্যাধ্যমে ক্যাপচার করা হয়।
উপরের সবকটি ক্যামেরা আলদাভাবে
বিশ্লেষন করে বলা যায় যে স্মার্টফোনের পিছনে ২টি ক্যামেরা থাকে তার প্রথম টি প্রধান
ক্যামেরা এবং দ্বিতীয়টি Depth Sensor হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যে স্মার্টফোনটির পিছনে ৩টি
ক্যামেরা থাকে সে স্মার্টফোনটির তৃতীয় ক্যামেরাটি ব্যবহৃত হয় Ultra Wide Angel
Lens এর জন্য। আর যে স্মার্টফোনটির পিছনে ৪টি ক্যামেরা থাকে সে স্মার্টফোনটির চতুর্থ
ক্যামেরাটি ব্যবহৃত হয় মাইক্রো লেন্স অথবা টেলিফটো লেন্সের জন্য। যে স্মার্টফোনটির
পিছনে ৫টি ক্যামেরা থাকে সে স্মার্টফোনটির পিছনে চার ও পাঁচ নং ক্যামেরাটি মাইক্রো
লেন্স অথবা টেলিফটো লেন্স যে কোন একটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সর্বোমাট প্রধান ক্যামেরা সহ পাঁচটি ক্যামেরা ব্যবহার হয়ে
থাকে। এখনও পর্যন্ত মাল্টিপল ক্যামেরা ব্যবহৃত স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে পিছনে চারটি ক্যামেরা
বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে শাওমি কোম্পানি MI NOTE 10 (CC9 PRO) স্মার্টফোনটির
পিছনে পাঁচটি ক্যামেরা রয়েছে যার দুটি ক্যামেরাই রয়েছে টেলিফটো লেন্সের জন্য।
পোস্টটি পড়ার পর যদি ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট ও বন্ধুদের মাঝে দয়া করে সেয়ার করুন।
পোস্টটি পড়ার পর যদি ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট ও বন্ধুদের মাঝে দয়া করে সেয়ার করুন।
Thanks
ReplyDelete